মার্চ ২৫, ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম
আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের, যাদের সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের ঋণ কখনও শোধ হবে না। বিজয়ের অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় অতিক্রম করেছে দেশ। নানা বাধার পরও উন্নয়ন-অগ্রগতি থেমে থাকেনি। খুব সহজেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা আসেনি। এর জন্য অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সারা দেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সার্বিক অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা খাতে দেয়া হচ্ছে ব্যাপক বৃত্তি ও প্রণোদনা। নিজস্ব অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দেশের নারীরা বর্তমানে অনেকটা স্বাবলম্বী। আজ নারীর সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন বেড়েছে। অর্থাৎ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
দেশের এই অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হয়ে অবদান রেখে চলেছে দৈনিক আমার সংবাদ। আমাদের প্রত্যাশা পূরণে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত মাড়িয়ে দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমার সংবাদ পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন প্রত্যাশা করি।
৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দৈনিক আমার সংবাদের পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।