Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রমজানে সালাতুত তাহাজ্জুদ

ধর্ম ডেস্ক

ধর্ম ডেস্ক

এপ্রিল ৩, ২০২৩, ১২:০৫ পিএম


রমজানে সালাতুত তাহাজ্জুদ

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. ব্যথা বা অন্য কোনো কারণে যদি সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারতেন, তবে তিনি দিনে ১২ রাকাত সালাত আদায় করে নিতেন। (মুসলিম-১৬৪০)

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর নফল সালাতের মধ্যে সর্বোত্তম মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতময় সালাত হলো সালাতুত তাহাজ্জুদ। মাহে রমজানে সালাতুত তাহাজ্জুদের সাওয়াব এবং ফজিলত অন্য মাসের নফল সালাতের চেয়ে বহুগুণ বেশি এবং মর্যাদাপূর্ণ। সালাতুত তাহাজ্জুদ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ হওয়ার আগে নবী সা.-এর ওপর ফরজ ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ হলে সালাতুত তাহাজ্জুদের ফরজিয়্যাত বিলুপ্ত হয়ে যায়। 

মাহে রমজানে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার একটি স্পেশাল সুযোগ থাকে মুমিনদের। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগানোই হবে মুমিনের প্রধান কাজ। সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করা সুন্নাতে রাসূল। সালাতুত তাহাজ্জুদ অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতপূর্ণ সালাত। এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এবং নৈকট্য লাভ করতে পারে। 

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন ‘হে রাসূল! আপনি রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ পড়ুন। এটি আপনার জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব। আশা করা যায় আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বনি ইসরাঈল-৭৯) নবীজি সা. সালাতুত তাহাজ্জুদে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতেন। 

হজরত মুগিরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবীজি সা সালাতুত তাহাজ্জুদে এত দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়ালেন যে তার পা দুটি ফুলে গেল। যখন তাকে বলা হলো আপনি এরূপ কেন করেন? আল্লাহ তায়ালা তো আপনার পূর্বাপর সব গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। উত্তরে তিনি বললেন, আমি কী আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত-১১৪৯)

নবী সা. সালাতুত তাহাজ্জুদ নিয়মিত আদায় করতেন। কোনো কারণে তিনি এই সালাত আদায় করতে না পারলে ফজর ও জোহরের মধ্যবর্তী সময়ে এর পরিবর্তে ১২ রাকাত সালাত পড়ে নিতেন। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. ব্যথা বা অন্য কোনো কারণে যদি সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারতেন, তবে তিনি দিনে ১২ রাকাত সালাত আদায় করে নিতেন। (মুসলিম-১৬৪০)

Link copied!