ধর্ম ডেস্ক
এপ্রিল ১১, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
ধর্ম ডেস্ক
এপ্রিল ১১, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
কুরআন নাজিলের মাস রমজান। তাই রমজান যেমন রোজার মাস, তেমনি পবিত্র কুরআনের মাসও বটে। রমজান মাসের সঙ্গে আল কুরআনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও গভীর। মাসটি রহমত, বরকত, নাজাত, মাগফেরাতের মাস। বিশেষভাবে কুরআনের মাস। তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের মাস।
রমজান মাসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করতেন। জিবরাইল আ. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন তিলাওয়াত শোনাতেন। নবীজিও জিবরাইল আ.-কে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।
রমজান মাসে কুরআন নাজিল হয়। এই রমজান মাসেই ঐশীগ্রন্থ আল-কুরআন সংরক্ষিত ফলক বা ‘লওহে মাহফুজ’ থেকে প্রথম আসমানে নাজিল হয়েছিল। ফলে রমজান পবিত্র কুরআন নাজিল বা অবতরণের সম্মানে সম্মানিত মাস।
এ কারণেই রমজানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন চর্চার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতেন। তিনি অধিক পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে নববীতে সাহাবিদের কুরআন শিক্ষা দিতেন। প্রতি রমজানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও জিবরাইল আলাইহিস সালাম পরস্পরকে কুরআন শোনাতেন।
১. হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘তার পিতা তাকে বলেছেন, প্রতি রমজানে জিবরাইল আলাইহিস সালামকে একবার কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। কিন্তু মৃত্যুর বছর তিনি তাকে দুবার কুরআন শোনান।’ (বুখারি ৬২৮৫) ২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর অপর এক বর্ণনায় এসেছে, রমজানের প্রতি রাতে জিবরাইল আ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে দেখা করতেন। তারা পরস্পরকে কুরআন শোনাতেন।’ (বুখারি)