Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সংঘাতময় পরিস্থিতির শঙ্কা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ১২:৫৬ এএম


সংঘাতময় পরিস্থিতির শঙ্কা

আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দল ঘোষিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং বৃহত্তর ইসলামিক দল জামায়াতে ইসলামীর ২৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানীতে পৃথক স্থানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রাজনৈতিক কর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনটি দলের সমাবেশের ভেন্যু অনেকটা কাছাকাছি হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার হঠানোর এক দফা দাবিসহ মোট ১০ দফা দাবিতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে রাজপথে টানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। একই দিন জামায়াতে ইসলামীও ১০ দফা ঘোষণা দিয়ে মাঠে অবস্থান করছে। আর ক্ষমতাসীন দলও বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচির দিনে মাঠে অবস্থান করেছে। যাতে ফাঁকা মাঠে কেউ গোল দিতে না পারে। আজ তিনটি দলের সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করার অনুমতি পাবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আভাস দেয়া হয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো দলকেই সমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা (অনুমতি) দেয়া হয়নি। এদিকে অনুমতি দেয়া না হলেও ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। অনুমতি না থাকলেও দলটি সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বাড়তি সতর্কত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তা ছাড়া আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। 

রাজনীতির মূল্য ইস্যু হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে। আওয়ামী লীগ চায় তাদের আমলে সংশোধিত সংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে। এই চাওয়া সফল হলে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানও থাকবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে বিএনপি চাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এটি বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবেন। একই অবস্থানে জামায়াতে ইসলামীও। দলটি চায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই বিতর্কিত বিষয়টি সমাধানের জন্য নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংলাপে মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একই প্রস্তাব দিয়েছিল ঢাকায় সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রতিনিধি দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে দেশের ভবিষ্যত কোন দিকে যাচ্ছে তা রাজপথেই ফয়সালা হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। 

সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ করবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেয়ে সারা দেশ থেকে বেশির ভাগ নেতাকর্মী আগেভাগেই রাজধানীতে পৌঁছেছেন। কর্মসূচি সফল করতে ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিও পৃথক প্রস্তুতি নিয়েছে।  অন্যদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে তারা। মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে দুদলের একই দিনে বড় সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথে নিজেদের শক্তির জানান দিতে ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। দলটি রাজধানীল মতিঝিলে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। একই দিন তিনটি দলের সমাবেশ হওয়ায় রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় না আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, আগামীকালও (শনিবার) শান্তি সমাবেশ করব। আমরা অশান্তি করতে চাই না, আমরা সরকারে আছি, আমরা কেন অশান্তি করব? বিএনপি অশান্তি করতে চায়। গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়। তাদের রাজনীতি হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। বর্তমানে তারা সেটারই প্র্যাকটিস করছে। তারা জনগণের ওপর দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছাতে চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিএনপি বিতর্কিত করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করিনি। বাতিল করেছে আদালত। বিচারপতি খায়রুল হক সংবিধানের কচুকাটা করেননি; বরং বিএনপি সংবিধানকে কচুকাটা করেছে, ছিন্নভিন্ন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকা মানে আমাদের দেশকে ছোট করা, দেশের অর্জনকে ছোট করা। 

লড়াই করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ কি ’৪৭-এর দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে চলবে নাকি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার আদর্শে চলবে। সমাধান আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাই আমাদের আজ লড়াই করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার আহ্বান বিএনপির : দেশবাসীকে ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শনিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করতে চায় বিএনপি। কিন্তু নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার। নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে মহাসমাবেশ ঘিরে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল শুক্রবার বিএনপির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান থাকবে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, শোষণমুক্ত সমাজে বসবাস করার জন্য, স্বাধীনভাবে কথা বলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সমাবেশে আসতে হবে। তিনি বলেন, সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে হবে, এ দেশের মানুষের প্রতি অত্যচার নির্যাতন আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে। এ সময় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এমন কোনো সেক্টর নেই যে, সেই সেক্টরকে দলীয়করণ করেনি সরকার। তিনি বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে নতুন আরেকটি নাটক সাজিয়েছে সরকার যে, দুই বছর সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ সরকারের নাটকের শেষ কোথায়?

শুক্রবারই নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা : সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ শনিবার ঘোষিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই কিছু নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। বিকেলের দিকে ভিড় আরও বেড়েছে। এসব নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর মোড়ে মোড়ে মহড়া দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা : রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে পাহারায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির অঙ্গ ও সগযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় রয়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বাসাবোতে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তাদেরকে মাঝে মধ্যে জয় বাংলা স্লোগান দিতেও দেখা যায়। 

ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের তল্লাশি জোরদার : ঢাকার একাধিক প্রবেশমুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। গতকাল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ঢাকার প্রবেশপথ গাবতলী সেতুর মুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে দারুসালাম থানা পুলিশ। 

এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। আমিনবাজারে পরিচালিত পুলিশের চেকপোস্ট উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগপত্র তল্লাশি করে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে, ঢাকাগামী দূরপাল্লার বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের প্রতি পুলিশের বিশেষ নজর লক্ষ করা গেছে। 

পুলিশ জানায়, ২৮ অক্টোবর বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই চেকপোস্ট। কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোনো নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই চেকপোস্ট। উত্তরার আবদুল্লাহপুরেও সকাল থেকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়। গতকাল দুপুরে পোস্তগোলা ব্রিজের মুখে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চালায় শ্যামপুর থানা-পুলিশ। এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বৃহস্পতিবার রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দল ও অঙ্গসংগঠনের ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে না। যেসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে র?্যাব। চলমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকায় র্যাব-২ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (গতকাল শুক্রবার) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নয়াপল্টনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, থাকছে ড্রোন : ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে ৬০টির বেশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। ডিএমপি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সমাবেশে আসা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগুলো বসানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো থেকে পাওয়া ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সমাবেশস্থলে সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন থাকবে। এ ছাড়া গোয়েন্দারা সরাসরি ক্যামেরা নিয়ে মাঠে থাকবেন।

 তিনি আরও বলেন, সমাবেশের দিন সর্বোচ্চ ফোর্স মাঠে থাকবে। কোনো ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলে পুলিশ তা দমন করবে। কোনো দল ঝুঁকি নিলে পুলিশও ঝুঁকি নেবে।

আ.লীগ-বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পাবে, বলছে ডিবি : আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল বিকেলে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমার ধারণা, তারা অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেয়া হবে তাদের। শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ডিবির একাধিক টিম ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে। 

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো আশঙ্কা আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ঢুকবে, এর মধ্যে তৃতীয় কোনো লোক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এ জন্য আমাদের টহল পার্টি জোরদার আছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। 

 

Link copied!