নভেম্বর ২০, ২০২৩, ১২:৩৬ এএম
রাজধানীতে অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল
জামায়াত, চরমোনাইসহ অর্ধশত দল বিএনপির সঙ্গে একমত, যাবে না ভোটে
হরতাল ডেকে কার্যত ভূমিকায় মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করে ফেসবুকে ছবি প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। হরতালে দূরপাল্লার গাড়ি কম চললেও ঢাকায় গাড়ি চলাচল ছিল চোখেপড়ার মতো। বিএনপির দলীয় কার্যালয় টানা প্রায় ২৪ দিন বন্ধ। ঝুলছে তালা। রয়েছে পুলিশের কড়া পাহারা। তফসিল ঘোষণার দিন কয়েকজন নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বলছেন, সরকার অন্যতম রাজনৈতিক দলগুলোকে বাইরে রেখে একচেটিয়া তফসিল ঘোষণা করেছে। ভোট উৎসবের এই মুহূর্তে বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দলের কেউ কেউ গুপ্তহত্যা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও দাবি তুলছেন। তারা বলছে, পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যাবে। তারা সরকারের এই কঠিন ভূমিকা মোকাবিলা করে রাজপথে চূড়ান্তভাবে শক্তি প্রয়োগ করবে। এবার তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তাদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দেশের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। বিএনপির উদ্দেশ্যের সাথে একমত হয়ে জামায়াত চরমোনাইসহ অন্তত অর্ধশত দল সরকারের একতরফা নির্বাচনি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। কেউ এই সরকারের অধীনে ভোটেও যাবে না। দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তারা আসলে এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে। কারা দলছুট হয়ে আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দেয়, কিংবা সরকার তাদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে সেগুলো দেখা হচ্ছে। শিগগিরই তারা অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেবে। প্রয়োজনে এক ব্যানারে আসারও চিন্তা করা হচ্ছে। তখন সব দল সব কিছু উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসবে। আপাতত তাদের টানা কর্মসূচি চলবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ‘একতরফা’ তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে বিভিন্ন স্থানে ‘ঝটিকা’ মিছিল করেছে। সমমনা জোটগুলো পুরানা পল্টনের বিজয়নগর সড়কে ‘বিক্ষোভ মিছিল’ করেছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর পুরানা পল্টন, বিজয় নগর, তোপখানা রোড, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, সায়েন্স ল্যাবরেটরির সামনে, তেঁজগাও রেলস্টেশন সড়ক, তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল সড়ক, বাড্ডা, ফকিরাপুল, গ্রিন রোড প্রভৃতি সড়কে এসব কর্মসূচি পালন করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা মহাসড়ক, বাসাবো, মুগদা সড়ক, হাজারীবাগ সড়ক, বাড্ডায়, রামপুরায়, কাফরুল, গুলশান, পল্লবী, শেওড়াপাড়ায়, উত্তরায়, দক্ষিণখান-বিমানবন্দর সড়কে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও তারা উত্তাপ ছড়ায়। দিতে থাকে তফসিলবিরোধী ও দলের নিবন্ধন রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে নির্বাচন কমিশনের ‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো সারা দেশে রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করছে।
বিএনপি : তেঁজগাও রেল স্টেশনের সড়ক, ফকিরাপুল, কবি নজরুল সরকারি কলেজ সড়ক, ঝিগাতলা, বনানীর কাকলীর সামনের সড়ক, তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল সড়ক, গুলশানে ছাত্রদল ও বাড্ডায় মহিলা দল, শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল, গ্রিন রোডে স্বেচ্ছাসেবক দল সকালে ‘ঝটিকা’ মিছিল করে চলে যায়। এসব মিছিলে কোথাও ৩০-৩৫ জন আবার কোথাও কোথাও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপি টানা কর্মসূচি দিয়ে এলেও নেতাকর্মীদের রাজপথে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। ঝটিকা মিছিল করে ফেসবুকে পোস্ট করে সটকে পড়ছে তারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় এক ডজনের অধিক নেতা কারাগারে আছেন, অন্যরা আত্মগোপনে। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজেও আছেন আত্মগোপনে। অবরোধ কর্মসূচির প্রথম প্রথম তাকে ভোরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ঝটিকা মিছিলে দেখা গেছে। প্রতিদিনই তিনি বক্তব্য রাখছেন ভার্চুয়ালি। এদিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেয়ার পর রাত থেকে ওই কার্যালয়ে নেতাকর্মী কাউকে দেখা যায়নি, কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ দেখা যায়। কার্যালয়ের সামনে দুই পাশে বসানো হয় পুলিশি নিরাপত্তা যা এখনো বলবৎ আছে।
বিএনপির এই আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গত ৩১ অক্টোবর থেকে সরকারি ছুটির দিন ও দুটি মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন অবরোধ পালন করে আসা বিএনপি এর প্রতিক্রিয়ায় রোব ও সোমবার হরতালের ডাক দেয়।
গণতন্ত্র মঞ্চ : বেলা সাড়ে ১২টায় বিজয় নগর সড়কে একতরফা তফসিলের প্রতিবাদে মিছিল করে তারা। মিছিলটি সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে বিজয়নগর সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘২০২৩-২৪ এ বাংলাদেশে যে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা, এটি বাংলাদেশের মানুষের রক্ষার লড়াই। গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে স্বাধীনতাও থাকবে না, মানুষের কোনো অধিকার থাকবে না। কাজেই এই লড়াইয়ে পরাজয়ের কোনো জায়গা নেই। তিনি বলেন, ‘উনাদের (আওয়ামী লীগ) মিত্র জাতীয় পার্টিও এখন উনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব এটিও বলে না। অতএব, আওয়ামী লীগ আর কিছু লোক পয়সা দিয়ে ভয় দেখিয়ে কিছু লোককে জড়ো করে তারা বলছেন, এটি নাকি নির্বাচন। লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা। কি রকম নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ... এখন নির্লজ্জের মতো ভোটডাকাতিকে নির্বাচন বলে। আমরা জনগণ বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে এভাবে ধবংস করতে দেবো না আর সেই কারণে এই লড়াই যখন চলবে, এই লড়াইকে বিজয়ী করে আমরা ঘরে ফিরব।’
‘শয়তানও লজ্জা পাচ্ছে’ : সমাবেশে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনের তফসিল কী মানুষ গ্রহণ করেছে? সব মানুষ এটি প্রত্যাখান করেছে, বর্জন করেছে। তারপরও সরকারি দলের নেতারা এবং সরকারের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রতিদিন তাদের যে মিথ্যাচার, শঠতার প্রতারণা এবং তাদের যে জালিয়াতির বক্তব্য তাতে শয়তান পর্যন্ত লজ্জা পাচ্ছে এবং এদের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারা করতে পারবে— এই কথা শুনে গাধাও নাকি হাসে। আর প্রতিদিন সরকার বলছে, তারা নাকি অংশগ্রহনমূলক, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। আপনি বিরোধী দলের ওপরে দমন-নিপীড়ন চালিয়ে সেখানে আপনি ভোটের উৎসবের আয়োজন করেছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট : বিজয়নগর সড়কের বেলা সাড়ে ১১টায় এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এই মিছিলে এনপিপির ফরিদুজ্জমান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে মিছিল শেষ করে।
গণঅধিকার পরিষদ : নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী বিজয় নগর ও নয়াপল্টন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে ‘ভোটডাকাতের তফসিল, মানি না, মানব না’, ‘শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ‘ইন্তেকাল কমিশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য : তোপখানা রোড় থেকে পুরানা পল্টনের মোড়ে ‘একতরফা’ নির্বাচনের প্রতিবাদে মিছিল করে তারা। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই করো’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের হরতাল চলছে চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। মিছিলে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কবাদী-লেলিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের অন্যরা হলেন— সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক কমরেড আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল হারুন আল রশিদ প্রমুখ নেতা ছিলেন।
১২ দলীয় জোট : বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয়নগর সড়কে তারা মিছিল করে। এই মিছিলে ছিলেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইকবাল হোসেন, লেবার পার্টির ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির নুরুল কবির ভুঁইয়া পিন্টু, বিএলডিপির এম এ বাশার, জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের ইলিয়াস রেজা প্রমুখ নেতা ছিলেন।
এলডিপি : দুপুর ১২টায় নাইটিঙ্গেল মোড়ে মিছিল করে তারা একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানায়। এই মিছিলে ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাহ মিয়াজীসহ নেতারা।
ঢাকা মহানগরী উত্তরে ১১ স্পটে মিছিল সমাবেশ ও পিকেটিং : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার সাজানো ও পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফাভাবে নিবাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নবিলাস জনগণ কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না। গতকাল সকালে রাজধানীতে ফরমায়েশি নির্বাচনি তফসিল বাতিল, অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর অঞ্চল আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বাড্ডায় মিছিল ও পিকেটিং : হরতালের সমর্থনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে আহূত ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতালের পক্ষে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা অঞ্চলের উদ্যোগে বাড্ডা এলাকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও পিকেটিং কর্মসূচি পালন করা হয়।
রামপুরায় মিছিল পিকেটিং : ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচির পক্ষে মহানগরী মজলিশে শূরার সদস্য এফ আহমেদের নেতৃত্বে রামপুরা সড়কে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে।
উত্তরায় মিছিল : ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতাল সমর্থনে গতকাল সন্ধ্যায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা অঞ্চল। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পশ্চিম থানার আমির আবু হাসনাইন। মিছিলটি উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
হরতালের সমর্থনে মোহাম্মদপুরে মিছিল : মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা গতকাল সকালে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের শূরা সদস্য মশিউর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আনিসুর রহমান, আব্দুল হাদী, আবু তালহা, মাওলা সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাড্ডায়, রামপুরায়, কাফরুল, গুলশান, পল্লবী, শেওড়াপাড়ায়, উত্তরায়, দক্ষিণখান-বিমানবন্দর সড়কেও জামায়াত মিছিল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রহসনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে দেশবাসী —সাবেক শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক শিবির সভাপতি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, এই অবৈধ সরকার দেশে আবারো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। সরকার তাদের মদদপুষ্ট আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জনধিকৃত ও প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জনগণ এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বলতে চাই অবিলম্বে এই তফসিল বাতিল করুন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। পুনরায় নতুন তফসিল ঘোষণা করুন। না হলে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, যেভাবে গণরোষ তৈরি হয়েছে, এই গণরোষে আপনারা দেশ থেকে অচিরেই ভেসে যাবেন, পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।
মতিঝিলে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং : রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করেছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত। সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯ ও ২০ নভেম্বরের হরতালের সমর্থনে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা।
যাত্রাবাড়ীতে হরতালের সমর্থনে মিছিল : এ ছাড়া একই দাবিতে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধোলাইরপাড় মোড় এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য এম এ রহিম, এস বিল্লাহ, নওশেদ ফারুক, মহিউদ্দিন, মতিউর রহমানসহ নেতারা।
ডেমরা মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে মিছিল : হরতালের প্রথম দিনে রাজধানীর ডেমরায় মহাসড়ক অবরোধ করেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, আবু জয়নব, মো. হেলাল উদদীনসহ নেতারা। এ ছাড়া বাসাবো-মুগদা সড়ক, রাজধানীর হাজারীবাগ সড়কে হরতাল সমর্থনে মিছিল করেছে দলটি।