Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

নির্বাচন নিয়ে তরুণদের ভাবনা

চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন

মিরাজ উদ্দিন

মিরাজ উদ্দিন

জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ১২:৪৭ এএম


চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন

গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন অপরিহার্য। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭ জানুয়ারি। যদিও বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচন থেকে এবারের নির্বাচন অনেকটা আলাদা। দ্বাদশ নির্বাচনে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।  দেশে অর্থনৈতিক সংকট, বহির্বিশ্বের চাপ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। বিরোধীদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় প্রতিটি আসনে আ.লীগের দলীয় এবং স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। 

এছাড়া সরকারের আনুকূল্যে থাকা জাতীয় পার্টিসহ একাধিক দলও নির্বাচনে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করে। এজন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই নির্বাচনকে একদলীয় নির্বাচন বলেও মন্তব্য করেছেন। এরই মধ্যে এখন দেশে যে নির্বাচনি উত্তাপ দেখা যাচ্ছে তা কেবল মাত্র আ.লীগ ও নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই অনেকটা সীমাবদ্ধ। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ ভোটারদের ভাবনা নিয়ে আজকের আয়োজন। 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর মনের ভাব জানতে চেয়েছেন আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক মিরাজ উদ্দিন। একান্ত আলাপচারিচায় উঠে আসে অনেক কথা।  

‘আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পুনরায় বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন  করুক আমি চাই। বিগত  ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের যা উন্নয়ন করেছে তা বাঙালি জাতির কাছে অকল্পনীয় ছিল। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু,  বঙ্গবন্ধু টানেল,  বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, এক্সপ্রেস হাইওয়ে, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা-কক্সবাজার রেলওয়েসহ আরও একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার।’

সাদিয়া আফরিন সারা, অর্থনীতি বিভাগ, সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ
 

‘সব দেশেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। সেখানে ক্ষমতার পালা বদলের প্রতিযোগিতা হয়। সাধারণ ভোটাররা ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনে। দেশে এবার যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে চরিত্র, সে রকম নয়। কারণ এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকছে এটা ধরেই ভোট হচ্ছে।’

শাকিলা আক্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

‘জাতীয় নির্বাচন হলো একটি উৎসবের মতো। এ সময় সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থাকে  নির্বাচনকে ঘিরে। আমি একজন নবীন ভোটার হিসেবে এই নির্বাচন নিয়ে বেশ কৌতূহলী। যদিও এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা অনেক দলই নির্বাচন বর্জন করেছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে অবশ্যই এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতো। যদিও আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় নির্বাচন যথেষ্ট জমে উঠেছে।’

মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় এই নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। এবার নির্বাচন একদলীয় হওয়ায় পছন্দের প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হবে। এটাকে আমি জাস্ট একটি দলের অনুশীলন বা প্রীতি ম্যাচ বলব।’

আবদুল হান্নান মাসুদ, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আবারো একই রকম একটি নির্বাচন সামনে হতে যাচ্ছে যেখানে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনর্বার ভূলুণ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এই ডামি নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের কোনো আস্থা নেই। গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনটি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। ক্যাম্পাসে নানা সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেস্টরুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে।’

সানজানা আফিফা অদিতি, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

Link copied!