সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া
জানুয়ারি ২২, ২০২৪, ১২:৪৪ এএম
সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া
জানুয়ারি ২২, ২০২৪, ১২:৪৪ এএম
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পানি পরীক্ষাগারগুলো বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে
—মুন্সি মো. হাচানুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
কোনো স্থানের ভূগর্ভস্থ পানির মান সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করা ও পানির উৎসগুলোর গুণগতমান নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন পানির গুণগত পরীক্ষাগার। পরীক্ষাগারে পানি পরীক্ষা শেষেই বলা যায় ওই স্থানের বা অঞ্চলের পানি কতটুকু বিশুদ্ধ। দেশে এমন পানি পরীক্ষাগার জেলা পর্যায়ে ছিল ১২টি। যা দেশের জনসংখ্যা ও আয়তনের তুলনায় খুবই কম। এতে সৃষ্টি হতো পানির গুণগতমান পরীক্ষা নিয়ে নানান জটিলতা।
মানুষের দোরগোড়ায় মানসম্পন্ন পানি পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে নেয়া ‘পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প হাতে নেয়। যেখানে নতুন করে দেশের ৫২টি জেলায় পানির গুণগতমান পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। স্থাপনার কাজ শেষ ছাড়াও সব ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ফটোকপিয়ার এবং ল্যাবরেটরির ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোর, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় নিকটবর্তী পরীক্ষাগারের জনবল দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পানি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ পানি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছেন। জনবল নিয়োগ হলেই আগামী জুন মাসে সম্পূর্ণরূপে একযোগে চালু হবে পানি পরীক্ষাগারগুলো।
প্রকল্পটি নিয়ে আমার সংবাদের এ প্রতিবেদক কথা বলেন প্রকল্প পরিচালক পরিচালক মুন্সি মো. হাচানুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ প্রকল্পটি দেশের জণগণের জন্য শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। বাংলাদেশের পানির গুণগতমান পরীক্ষার জন্য যে সব ল্যাবরেটরি রয়েছে তার মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারসমূহ অন্যতম। পানির গুণগতমান পরীক্ষার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ল্যাবরেটরিসমূহের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে পানি পরীক্ষা করা হবে। এতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ নিরাপদ এবং পরীক্ষিত বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবে। ফলে জনসাধারণ নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাবে।
প্রকল্পটির কাজে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সব সময়ই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণ সামগ্রী থেকে শুরু করে সরঞ্জাম সবকিছুতে আমাদের তদারকি ছিল। এখানে কোনো অসাধু চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিম্ন মানের মালামাল সরবরাহ করার সুযোগ পায়নি। এর জন্য একটি চক্র ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। যা ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তমূলক। কিন্তু আমি দায়িত্বশীলতার জায়গায় নিজের দক্ষতার পরিচয় রেখেই প্রকল্পটির কাজ শেষ করেছি।