Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন

প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন

সৈয়দ সাইফুল ইসলাম

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ১২:৪৯ এএম


প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
  • একই এলাকায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য থাকায় দ্বন্দ্ব হয়
  • নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছেও গুরুত্ব কম থাকে

নারীদের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে হবে
—প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, চেয়ারম্যান, জানিপপ

নারীদের নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকা থাকতে পারে, যেখানে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন 
—সাব্বির আহমেদ
অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   

রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনপ্রণয়নে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সাময়িক ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিধান চালু করা হয়েছিল। যখন নারীরা রাজনীতিতে অনগ্রসর ছিলেন তখন সংরক্ষিত মহিলা আসন সৃষ্টি করা জরুরি ছিল। কিন্তু এখন নারীরা সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সব নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হারে বিজয়ীও হচ্ছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা নারী, টানা চারবার জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী, মন্ত্রিসভায় একাধিক নারী দায়িত্ব পালন করছেন। তা ছাড়া, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ভিসিসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে নারীরা সুনামের সাথে ভূমিকা রাখছেন। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

দেশের ভোটার সংখ্যার দিক থেকে নারীদের সংখ্যা কম নয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সর্বশেষ দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের এখন মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, নারী পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ চার হাজার ৮৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৮৩৭ জন। অর্থাৎ ভোটারের দিক থেকে নারী পুরুষের খুব একটা ব্যবধান নেই। নারীরা রাজনীতিতে এখন যথেষ্ট সক্রিয়। তাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ছে, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে থাকবেন। দেশের দেশের স চেয়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ নেতা নারী, এই দল দুটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি) সদস্যের মধ্যেও নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর বিশেষ কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই বললেই চলে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপিদের জন্য নির্ধারিত এলাকায় নির্বাচিত একজন এমপি সার্বক্ষণিকই থাকছেন। ফলে এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এমপিদের সঙ্গে নানা বিরোধী দেখা দেয়। মাঝে মধ্যে এমন বিরোধের খবর গণমাধ্যমেও প্রকাশ পায়। গত ১৭ আগস্ট তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নির্বাচনি এলাকার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যকে লাঞ্ছিত করা হয় তৎকালীন প্রতিমন্ত্রীর (বর্তমানে পূর্ণ মন্ত্রী) সামনেই। ঘটনার দিন জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হোসনে আরাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে তিনি নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন। তাকে জামালপুর ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম থাপ্পড় দেন বলে অভিযোগ করেন। পরে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ একই নির্বাচনি এলাকায় দুই এমপি থাকার কারণে এ বিরোধের ঘটনা ঘটে। শুধু এমপিদের মধ্যেই নয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও ওই এলাকার নির্বাচিত এমপির অনুসারীদের মধ্যেও বিরোধী হয়। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

ভোটে সরাসরি নারীরা নির্বাচিত হওয়ার এখন আর খুব বেশি জটিল নয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে চারজন নারী সরাসরি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে (জুন) পাঁচজন, ২০০১ সালে ছয়জন, ২০০৮ সালে ১৯ জন, ১৮ সালে ২২ জন ও ২০২৪ সালে ১৯ জন নারী সরাসরি আসনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নারীদের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়লে নির্বাচিত হওয়ার সংখ্যাও বাড়বে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান  প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মনের করেন, সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ধারণাটি প্রবর্তন করা হয়েছে পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু নারীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ তারা জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হবেন, সেভাবে পুরুষ প্রার্থী থাকবে না, এখন এমনটি করা যেতে পারে। যাতে দলীয় প্রধানের ইচ্ছায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না থাকে। তিনি আরও বলেন, দেশে এখনো ৩০০ আসনই রয়েছে, যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলেও ছিল, কিন্তু ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডসে নিয়ম হচ্ছে— জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন সংখ্যা বাড়ানো-কমানো। যখন সাত কোটি জনসংখ্যা ছিল তখন ৩০০ আসন ছিল, এখনো সেই তিনশ আসনই রয়েছে, এটি নিয়েও কাজ করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরাও এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, এখন আর সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নির্বাচনের খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমার সংবাদের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জেলা বিবেচনায় এখন দু’-একটি জেলা ছাড়া অন্য্য জেলাগুলোর নারীরা আর আগের অবস্থানে নেই। অনেক এগিয়েছেন। তারা শিক্ষাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে এগিয়েছেন। তার মতে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মধ্যবিত্ত নারীরা, যারা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। সে ক্ষেত্রে ‘বিশেষ ব্যবস্থাপনার’ প্রয়োজন নেই, তা আমি বলতে পারব না; তবে দরকার আছে কি-না তা ভেবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের এখন না রাখাই ভালো। 

তিনি বলেন, নারীরা এখন ওপেন কম্পিটিশনেই আসতে পারেন। সংরক্ষিত নারী আসনের বিদ্যমান থাকা মানে হচ্ছে রাজনীতিতে এক শ্রেণির তাঁবেদার তৈরি করা, এমনিতেই রাজনৈদিক দলের মধ্যে এক ধরনের তাঁবেদার গোষ্ঠী থাকে, এ ছাড়াও যাতে আরও কিছু তাঁবেদার, আরও কিছু চাটুকার থাকে সে জন্যই সংরক্ষিত মহিলার আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই পদ্ধতির এখন আর দরকার নেই উল্লেখ করেন ঢাবির এ অধ্যাপক বলেন, এখন এগুলো (সংরক্ষিত মহিলা আসন) বাদ দেয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা না হলে জাতি এগোয় না, সে কারণে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, আমরা তো নারী-পুরুদের সমান অধিকারের কথা বলি, সেই ধারণা অনুযায়ী নির্বাচনের সে ক্ষেত্রেও পরুষের মতো একই নিয়মে নির্বাচিত হয়ে আসা উচিত। 

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মতো (তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে যেভাবে একটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড/আসন করা হয়েছে, যেখানে নারীরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন) করা যেতে পারে। অর্থাৎ নারীদের একটি নির্বাচনি এলাকা থাকবে, যেখানে তারাই প্রতিদ্বিন্দ্বতা করবেন, পুরুষ প্রার্থী থাকবে না, এমনটি করা গেছে তাও মোটামুটি এক ধরনের অগ্রাধিকার। এতেও অবশ্য খুবই একটা লাভ হবে বলে মনে করেন না অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। কারণ, এভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা হলে ধনী নারীরাই এমপি হবেন, কেননা এখন নির্বাচন সম্পন্ন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। 

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বাংলা ভার্সনে বলেন, ১৯৭২ সালে যখন এই আইনটি তৈরি করা হয় তখনকার প্রেক্ষাপটে তা ছিল যুক্তিসঙ্গত ও সময়োপযোগী। নারীর ক্ষমতায়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সে সময় এই আইন তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় নারীরা তুলনামূলকভাবে ঘর থেকে কম বের হতেন এবং নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তেমন সামাজিক প্রেক্ষাপট ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এই সংরক্ষিত আসন অনেকটাই অকার্যকর বলে মনে করেন তিনি। তা ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য যেই এলাকার দায়িত্বে থাকেন, সেই এলাকায় তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন এমপি থাকেন। কাজেই তাদের (সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের) ভূমিকাটা সাধারণত গৌণ থাকে। এই আইনজীবীর মতে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্ধারণ না করে মেধাভিত্তিক বা অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক বিবেচনায় নির্ধারণ করলে সংসদে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীরা।

বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংসদের কোনো সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন সম্পন্ন করবে এবং এই লক্ষ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ এবং ভোট গ্রহণের স্থান ও তারিখ নির্ধারণপূর্বক নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করিবে। একটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন যদি নির্বাচিত সংসদ সদস্য হন, তাহলে ওই দল থেকে একজন প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হবেন। তখন ওই সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ওই বিশেষ রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন এবং সেই দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে বিজয়ী হয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হতে পারবেন ওই প্রার্থী।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের পর ৯ জানুয়ারি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সরকারি গ্রেজেট প্রকাশ হয়েছে। সেই হিসাবে এপ্রিলের প্রথম দিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন হতে পারে। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ দলীয় শরিক ও স্বতন্ত্র এমপিদের সমর্থন সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সচিবের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন বণ্টনের হিসাবে স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ৫০ সংরক্ষিত আসনের মধ্যে সব মিলিয়ে পাচ্ছে ৪৮টি। আর বাকি দুটি পাবে জাতীয় পার্টি। হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দেবেন। সেই সমর্থনসূচক আলাদা আলাদা চিঠি তাদের স্বাক্ষরসহ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করে ইসি সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। 

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, ১৪ দলীয় শরিক জাসদ একটি ও ওয়ার্কার্স পার্টি এক, স্বতন্ত্র ৬২ জন, কল্যাণ পার্টি একটি ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি দুটি ও স্বতন্ত্ররা ১০টি আসন পান। কিন্তু স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়ায় আওয়ামী লীগই ৪৮টি আসন পাবে। 

এর আগে, নারী আসন বণ্টনের সুবিধার্থে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল ও স্বতন্ত্রদের কাছে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কোনো একটি দলে যোগদান বা জোট করার বিষয়ে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠির ভিত্তিতেই স্বতন্ত্রদের সমর্থন হাসিল করেছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জেটের আরও দুজন সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন; তারাও সম্মতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত নারী আসনে যাদের মনোনয়ন দেবেন তারা তাদের সমর্থন দেবেন।
 

Link copied!