ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০১:৫১ এএম
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে নবগঠিত সরকার গঠন করেছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৮ সদস্যের। বর্তমানে ৩৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা দিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। স্মার্ট দেশ গড়ার অঙ্গীকারে সরকারের কাজের পরিধিও গেছে বেড়ে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভায় আরও সাত থেকে ১০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হতে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও কাজের পরিধি বুঝে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একজন করে যুক্ত হতে পারেন। সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী মাসে সংরক্ষিত আসনে নারী এমপিদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর মার্চেই মন্ত্রিসভায় নতুন চমক আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রী হবেন কারা, কে কে মন্ত্রিসভায় আসবেন— এটা একান্তভাবেই প্রধানমন্ত্রী জানেন। সরকারের প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার আকার বাড়তেও পারে।
এদিকে গত কদিন ধরে সরকারি দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে বর্ধিত মন্ত্রিসভার। এতে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসন থেকে দু-একজন এবং শরিক দল ও টেকনোক্র্যাট কোটায় আরও কয়েকজন আসতে পারেন।
বেশি গুঞ্জন যাদের নিয়ে, এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আরও শোনা যাচ্ছে, তিনি সংরক্ষিত আসনে নারী এমপিও হতে পারেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে চাঁদপুর-১ আসনের এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদকে।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমকেও মন্ত্রিসভার দায়িত্বে আনা হতে পারে। এবার মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত সবাই আওয়ামী লীগের। শরিক দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। তবে শরিক থেকে একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আমার সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনই আগাম বলার সময় আসেনি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই সব বিষয়ে নজর রয়েছে। প্রয়োজন হলে তিনি দেখবেন।
টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো গত ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯৮ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন। এর এক দিন পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রীদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট হিসেবে দুজনকে মন্ত্রীর দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। গতবারের মতো এবারও শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় এখনো পর্যন্ত সবাই আওয়ামী লীগের। গত মন্ত্রিসভার ১৫ মন্ত্রী ও ১৩ প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দেয়া হয়েছে।