Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪,

বৃষ্টিতে আনন্দ ম্লান পাঠক-দর্শনার্থীদের

মো. নাঈমুল হক

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম


বৃষ্টিতে আনন্দ ম্লান পাঠক-দর্শনার্থীদের
  • মেলার বিভিন্ন স্থানে জমেছে পানি
  • বৃষ্টিতে ভিজেছে অনেক প্রকাশনীর বই
  • অগ্রিম ব্যবস্থাপনায় রক্ষা পেয়েছে কিছু স্টল
  • মেলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রকাশনী মালিকদের

পানি সরানোর জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ চলেছে 
—কেএম মুজাহিদুল ইসলাম সদস্য সচিব, বইমেলা পরিচালনা কমিটি

একুশে ফেব্রুয়ারির পর বইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল আজ শুক্রবার। আগের দিনের বৃষ্টির রেশ ছিল এদিনও। পরপর দুদিনের বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানিতে ভিজেছে অনেক প্রকাশনীর বই। কোন কোন স্টলের সামনে পানি জমায় আশানুরূপ ক্রেতা পায়নি স্টল মালিকরা।

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় ছিল বিপুল দর্শনার্থী। কর্দমাক্ত থাকায় খুব সতর্কতার সঙ্গে হাঁটতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। এসব কারণে মেলা কমিটির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন প্রকাশনী মালিকরা।

তবে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেলা প্রাঙ্গণের পানি সরানোর জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করেছেন তারা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার মেলার শুরু কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বৃষ্টি। এদিন বিকালে ওপরের দিন ভোর রাতের বৃষ্টিতে মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে পানি জমেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় অনেক প্রকাশনীর স্টল ও প্যাভিলিয়ন ভিজেছে বৃষ্টির ছিটায়। অসতর্কতায় ভিজেছে কোনও কোনো প্রকাশনীর বই। পুথিনিলয় ও সিস্টেম পাবলিকেশনের মাঝে পানি জমেছে। একই রকম দৃশ্য ছিল বাবুই প্রকাশনী, পাঠক বাড়ি, তরফদার, প্রতিবিম্ব প্রকাশনী, মিজান পাবলিশার্সসহ আরো অনেক প্রকাশনীর সামনে।

এর ফলে স্টলের পাশ ঘেঁষে কোনোভাবে পথ চলেছে দর্শনার্থীরা। অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় ছবি তোলা ও পরিদর্শনে ছিলেন তারা। কেউ কেউ সতর্কতার সঙ্গে পথ চলছেন। ভেজা বই রৌদ্রে শুকাতে দিয়েছে কেউ কেউ।

তবে মেলায় আগাম সতর্ক বৃষ্টি থেকে কিছু কিছু স্টল রক্ষা পেয়েছে। স্টলে পানি আসলেও বইগুলো ভিজেনি।

এ ব্যাপারে ছোটদের বই প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী তানভীর আলম বলেন, বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে অনেকগুলো বই ভিজেছে। সেজন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। বইগুলো বিভিন্ন প্লাস্টিকের মোড়কে আটকিয়ে রেখেছি। এর ফলে বই ভিজেনি। স্টল ভিজলেও সেটা শুকিয়ে গেছে।

এছাড়া আগামী প্রকাশনীর কিছু বই ভিজেছে। পাইপে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন বিক্রয়কর্মী। উপরের টিন থাকার পরও ঘুরি প্রকাশনীর স্টলও ভিজেছে।

ঘুড়ি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মেহেদী বলেন, বৃষ্টির ছিটায় স্টলের অনেকাংশ ভিজেছে। পানি জমায় বাবুই প্রকাশনী, পাঠক বাড়ি, তরফদার, প্রতিবিম্ব প্রকাশনী প্রকাশনীতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রকাশনীর অবস্থা একইরকম ছিল। সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনেও অলস সময় পার করেছেন বিক্রয়কর্মীরা।

বাবুই প্রকাশনীর মালিক মোরশেদ আলম আমার সংবাদকে বলেন, সেই সকালে বৃষ্টি শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত (বিকাল ৪টা) মেলায় পানি জমে রয়েছে। বৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল ভিজেছে। অনেকের বইগুলো ভিজেছে। মেলা আয়োজক কমিটি প্রকাশকদের কাছ থেকে এতো এতো টাকা নেন। এ টাকা দিয়ে কী করেন? একটু বৃষ্টিতেই স্টল প্রকাশনী ভিজে যায়। ওনারা দায়সারাভাবে টিন দিয়েছেন। এর ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অবধি তেমন ক্রেতা আসেনি। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে আমাদের ভালো বিক্রি হয়। আর এ দিনই এমন অবস্থায় পড়তে হয়েছে।

বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, পানি সরানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সকাল থেকে পাম্প বসিয়ে কাজ করেছি। আমার লোকেরা সকাল ৭ থেকে কাজ করছে। আমাদের সবাই পানি সরানোর কাজে নিয়োজিত আছে।

Link copied!