Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

গণমিছিলে ফের উত্তাল দেশ

সাহিদুল ইসলাম  ভুঁইয়া

সাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া

আগস্ট ৩, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম


গণমিছিলে ফের উত্তাল দেশ

খুলনা ও হবিগঞ্জে পুলিশসহ নিহত দুই

  • ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক অভিভাবক, শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ
  • ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র উত্তরা, ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীসহ গুলিবিদ্ধ তিন
  • সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেট আহত ৩০, আটক ১২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ৯ দফা দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকাসহ সারা দেশে গণমিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। গতকাল সকাল থেকে বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে বিভিন্ন সময়ে গণমিছিলে অংশ নিয়েছেন ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, অভিভাবক, শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল দিনের শুরুতে বেলা সাড়ে ১১টার পর আফতাবনগরে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল নিয়ে তারা রামপুরা ব্রিজ হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। 

এ সময় মিছিলে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর গলায় পরিচয়পত্র ছিল। ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় বিচার দাবি করেন। এ সময় তারা গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। মিছিলের সামনে ও পেছনে ছিল পুলিশ। একই সময় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাইন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত গণমিছিলে অংশ নেন। গণমিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ চত্বর অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একই সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। 

জুমার নামাজের পর প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পূর্বঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দ্রুত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পরে তারা প্রেস ক্লাবের অবস্থান ছেড়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে শাহবাগের দিকে চলে যান। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে গণমিছিল শুরু করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যেতে থাকে। পরে শাহবাগ পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। গতকাল বিকালে রাজধানীর উত্তরায় জমজম টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো উত্তরা এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ছিল। মিছিলের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশকে ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায়। এ ঘটনায় উত্তরা ১১নং সেক্টরের ১নং রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউসের মালিক দুলাল হাওলাদার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহমিদ হুজাইফাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলামোটরে মানববন্ধন করেছেন পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলেছেন, সমাজে প্রতি পায়ে পায়ে ভয়। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরা কোনো ভয় পায় না। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য পথে নেমেছে। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন হয়রানি ও গুলির শিকার না হয়। যেসব জায়গায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা  ষ এরপর পৃষ্ঠা ১১ কলাম ১

রক্ষাবাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। সকালে প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী উদীচী। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্য কয়েকটি সংগঠনও। উদীচীর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, ‘আমরা আজ বিচিত্র এক সময়ে দাঁড়িয়ে। যখন আমরা হারিয়েছি আমাদের সন্তানদের, বন্ধুদের।’ কোটা আন্দোলনের মতো একটি আন্দোলন সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যর্থতার দায়ে বীভৎস অবস্থায় চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা কিছু ঘটেছে, এর দায় কেউ এড়াতে পারে না। এর দায় সরকারের ওপর বর্তায়।’ এছাড়া সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করেছেন। সকালে বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনে বিক্ষুব্ধ ‘কবি-লেখক সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের ফটক থেকে শুরু হয়। কর্মসূচি উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা আগে মসজিদে এসে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজে খতিব নির্যাতন-নিপীড়নকারীদের ওপর বদদোয়া করলে শিক্ষার্থীরা উচ্চৈঃস্বরে ‘আমিন’ বলেন। নামাজ শেষেই শিক্ষার্থীরা বের হন। প্রথমে শিক্ষার্থীদের পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। প্রথমে মিছিলটি কোতোয়ালি হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়। এরপর মিছিলটি টাইগারপাস এলাকা দিয়ে ওয়াসা মোড়ে পৌঁছায়। সেখান পুলিশ থাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়নি। পরে পুলিশের সাঁজোয়া যানে ঢিল ছোড়ে শিক্ষার্থীরা। ধাওয়ায় এটি কিছুটা দূরে সরে গেলে শিক্ষার্থীরা ওয়াসা মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। ওই সময় পাশে ছাত্রলীগ অবস্থান করছিল। শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পার্শ্ববর্তী বাগমনিরাম গলির ভেতরে পালিয়ে যায়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচির ডাকে সাড়া দিয়ে খুলনায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। সে সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়েছে ও লাঠিচার্জ করেছে। দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে পরে তারা মিছিল নিয়ে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল হয়ে গল্লামারির দিকে যায়। গল্লামারি ব্রিজ পার হয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে থাকলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। বাঁধার মুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে আবহাওয়া অফিস ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। 
সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

খুলনার পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আজকে ছাত্রদের সংখ্যা অনেক বেশি। সঙ্গে অভিভাবকরাও আছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করছি। শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়েছে। সে কারণে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।’

হবিগঞ্জে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বিকাল পৌনে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জেলা শহরের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে দুপুর দেড়টায় জড়ো হন। পুলিশ ও বিজিবির কিছু সদস্যও সেখানে অবস্থানে ছিল। হঠাৎ শায়েস্তানগরের দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দিয়ে এসে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টাউন হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় পাশেই তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোস্তাক মিয়া (৩০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকেরবাজার। সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল    পোড়ানো হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার দিকে জানা গেছে, সংঘর্ষের এ ঘটনায় শতাধিকেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।  

সিলেট নগরীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিকালে নগরীর আখালিয়া এলাকায় হাজারো ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের লক্ষ করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। জুমার নামাজের পর নগরীর আখালিয়ার সুরমা গেট এলাকায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা জড়ো হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংষর্ষে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আটক করা হয়েছে ১২ জনকে। 

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া সব শিক্ষার্থীর মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনকারীরা। গতকাল সকালে রংপুর মহানগরীর পার্ক মোড়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রার ব্যানার নিয়ে একত্রিত হন। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিশোরগঞ্জে বৃষ্টিতে ভিজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে এ গণমিছিল শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজে মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকরাও। লক্ষ্মীপুর শহরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় টিপুর বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া ও হামলায় ১০ জন আহত হন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকশ শিক্ষার্থী মহাসড়কে অবস্থান নিলে একপর্যায়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের কোর্ট রোড এলাকার উপজেলা মোড়ে শিক্ষার্থীদের প্রার্থনা ও গণমিছিলে হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।
 

Link copied!