Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ডিসি নিয়োগে চরম অসন্তোষ

বেলাল হোসেন

বেলাল হোসেন

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ১২:২৩ এএম


ডিসি নিয়োগে চরম অসন্তোষ

অন্তর্বর্তী সরকারের সারা দেশে ব্যাপক রদবদলের অংশ হিসেবে ডিসি নিয়োগ শুরু হয়েছে। তবে বিগত হাসিনা সরকারের আমলে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কর্মকর্তা নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পদায়ন নিয়ে অস্থিরতা থামছে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বদলে চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের। এদিকে অসন্তোষ থেকে হট্টগোলে রূপ নেয়। গত সোম ও মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে যে কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগের কর্মস্থলেই কাজ করে যেতে বলা হয়েছে। 

এদিকে সচিবালয়ে অস্থিরতার মুখে নতুন আটজনের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। একইসঙ্গে আরও চার জেলার ডিসি পদে রদবদল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাধারণত একটি বাছাই কমিটির মাধ্যমে ফিটলিস্ট হয়, সেই কমিটি আজ বৈঠকে বসেছিল। পর্যালোচনা করে আটজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো— লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, রাজবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ।

এসব জেলার মধ্যে লক্ষ্মীপুরে নিয়োগ পেয়েছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমী, জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এবং কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পেয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারহানা ইসলাম।

এছাড়াও রাজশাহীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, শরীয়তপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজ, দিনাজপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোবাশশেরুল ইসলাম, রাজবাড়ীতে আরপিএটিসির উপপরিচালক মনোয়ারা বেগম এবং সিরাজগঞ্জে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এসব জেলায় নতুন করে যারা নিয়োগ পাবেন, তাদের বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া আরও চার জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়েছে বলেও জানান মোখলেসউর রহমান। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের ডিসিকে পঞ্চগড়ে, নীলফামারীর ডিসিকে টাঙ্গাইলে, নাটোরের ডিসিকে লক্ষ্মীপুরে এবং পঞ্চগড়ের ডিসিকে নীলফামারীতে বদলি করা হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত ডিসিদের আওয়ামী আমলনামা : বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ডিসি আব্দুল আজিজ সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সামসুল আলমের পিএস। নাটোরের ডিসি রাজীব কুমার সরকার, বাবা যতীন কুমার সরকার, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের আশীর্বাদপ্রাপ্ত গাজী টিভির সংবাদ পাঠিকা ২৪ ব্যাচের ফারহানা ইসলাম হয়েছেন কুষ্টিয়ার ডিসি। তিনি সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের সাথে বিশেষ সখ্যতার বিষয়েও উঠে এসেছেন। গত আট বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ অনুবিভাগে কর্মরত আছেন। এছাড়া আওয়ামীপন্থি গাজী টিভির নিয়মিত সংবাদ পাঠিকা।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা, তানভীর আহমেদ ঢাকার ডিসির ভগ্নিপতি। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ২৫ ব্যাচের মো. সাইদুজ্জামান জয়পুরহাটের ডিসি হয়েছেন। এই সাইদুজ্জামান টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ইউএনও থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি অফিসিয়াল বনভোজনের আয়োজন করেছিলেন এবং সমালোচিত হওয়ার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ১৫শ কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক। ঢাকায় এসিল্যান্ড থাকাকালীন সময়ে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত।

বিগত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদের একান্ত সচিব (উপসচিব) ২৭ ব্যাচের রাজীব কুমার সরকার নাটোরের ডিসি,  তার শ্বশুর যতীন সরকার। যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তার শ্বশুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, কামাল আব্দুল নাসেরের (ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মুখ্য সচিব) ব্যক্তিগত লোক রাজীব সরকার। ২৪ ব্যাচের সাইফুল ইসলাম কলকাতার বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত ছিলেন বিগত সরকারের সময়।

তরফদার মাহমুদুর রহমান জেলাপ্রশাসক শেরপুর। সাবেক আইন, বিচার ও লেজিসলেটিভ সচিব মইনুল কবিরের পিএস। সরাসরি  ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২৪ ব্যাচের চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে গত ২৭ মার্চ রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করে বিগত সরকার। এরপরও তাকে ডিসি পদে পদায়ন করা হলো। ২৪ ব্যাচের নাফিসা আরেফীন গাজীপুরের ডিসি হয়েছেন, তার স্বামী একই ব্যাচের রফিকুল ইসলাম বিগত জানুয়ারি ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর বাণিজ্যমন্ত্রীর পিএস হয়েছিলেন।

ঢাকার ডিসি তানভীর আহমেদ সাবেক লেজিসলেটিভ ও সংসদ-বিষয়ক সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হকের পিএস ছিলেন। চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ জেলাপ্রশাসক গাইবান্ধা। দীর্ঘদিন থেকে মন্ত্রী পরিষদে কর্মরত। আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। খন্দকার ইশতিয়াক জেলাপ্রশাসক নোয়াখালী, দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রিপরিষদে অর্থাৎ পাঁচ বছরের অধিককাল  কর্মরত আছেন। আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

ফরিদপুরের কামরুল ডিসি হাসান মোল্লা। চাচা ইসমাইল হোসেন মোল্লা, পুবাইল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মনির হোসেন হাওলাদার সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়িত হয়েছেন। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ইউএনও থাকা অবস্থায় ‘ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে শিক্ষকের মাফ চাওয়ার ঘটনায়’ সমালোচিত হয়ে ইউএনও থেকে প্রত্যাহার হয়েছিলেন। রাজশাহীর ডিসি হিসেবে পদায়িত হয়েছেন মাহবুব রহমান। আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। ইতোমধ্যে বিগত সরকারের সময় (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১) তার একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি সেখানে লিখেছেন ‘we all are sheikh Hasina’s men’।

বিগত সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত, সুবিধাভোগী এবং বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের পিএস ছিলেন (৬ বছর) নায়িরুজ্জামান, যিনি পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়িত হয়েছেন।
বনানী বিশ্বাসের নেত্রকোনা ডিসি হিসেবে অর্ডার হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সিইও থাকাকালীন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং স্বামী ডা. বিবেক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাথে সরাসরি জড়িত। আবদুল আজিজ জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর হিসেবে পদায়িত। তিনি পিএস ছিলেন বিগত আওয়ামী সরকারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের। শারমিন আক্তার জাহান নড়াইল জেলায় পদায়িত। তিনি সেই আলোচিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় পত্রিকায় নিজেই নিউজ করিয়েছেন ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন’।

নুসরাত সুলতানা কুড়িগ্রাম জেলায় পদায়িত হয়েছেন। তার স্বামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তিনি নিজেকে ড. ইউনূসের ভাতিজি বলে পরিচয় দেন। ২৭ ব্যাচের মোবাশ্বেরুল ইসলাম পোস্টিং পেয়েছেন উত্তরবঙ্গের বড় জেলা দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে। তিনিও ছিলেন সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের পিএস। এছাড়াও ফাতেমা তুল জান্নাত- মুন্সীগঞ্জ জেলা, আহমেদ কামরুল হাসান- বাগেরহাট জেলা, সিফাত মেহনাজ- মেহেরপুর জেলা, দেলোয়ার হোসেন-বরিশাল জেলা, ইসরাত ফারজানা- ঠাকুরগাঁও জেলায় পদায়িত হয়েছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের ডিসি ফিটলিস্টে এদের প্রত্যেকের নাম ছিল। যে লিস্ট করেছিল প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল, তদন্ত কমিটি গঠন : জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অসন্তোষ থেকে সৃষ্ট হট্টগোল তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে আটজন জেলা প্রশাসকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।  

সব প্রজ্ঞাপন বাতিল চান বঞ্চিতরা : সমপ্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের যে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল চেয়েছেন বঞ্চিতরা। দুটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সিনিয়র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিসি পদপ্রত্যাশী উপসচিবদের সমন্বয়ক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নূরুল করিম ভূইয়া। 

উপসচিব নূরুল বলেন, তিনি (সিনিয়র সচিব) এ প্রজ্ঞাপন দুটি বাতিল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দাবি ছিল প্রশাসনের সর্বস্তরে বিগত দিনে যারা সুবিধাভোগী, যারা ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িত; খুন, লুটপাট ও রাষ্ট্র সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং এখন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছেন, সেসব কর্তাকে আজকের মধ্যে বিদায় দিতে হবে। এটা ছিল আমাদের প্রধান দাবি। 

তিনি বলেন, ৫৯ জন ডিসিকে যে পদায়ন করা হলো তাদের অনেকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে, আপত্তি রয়েছে। যেহেতু বিগত সরকারের সময় এসব কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে সুবিধা নিয়েছেন এবং আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছেন। নূরুল করিম বলেন, আমাদের আজ যেসব কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিলেন তাদের সবাই মেধাবী, যোগ্য ও সৎ। যেহেতু কোটাবিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল মেধাবীরা নিয়োগ পাক, সেহেতু আমরাও চাই মেধাবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গবেষক ও সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার আমার সংবাদকে বলেন, একবার যদি অনাচার হয় তখন পুরো বিষয়টা নড়বড়ে হয়ে যায়। এটা সঠিক পথে নিয়ে আসা কঠিন হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে ডিসি নিয়োগ নিয়ে যে অসন্তোষ হচ্ছে তা আগের অনাচারের কারণে হচ্ছে। এখানে দুপক্ষ দায়ী আছে উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে আটজনের নিয়োগ বাতিল করল তারা সঠিকভাবে এটা করতে পারেন নাই, এখানে ত্রুটি ছিল। পরবর্তী এ বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে সতর্কতার সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডিসি নিয়োগ করা দরকার। যাতে করে নতুন করে আর যেন সমস্যা তৈরি না হয়। 

আবদুল আউয়াল মজুমদার আরও বলেন, যে সব কর্মকর্তা প্রতিবাদ করেছেন তারাও সঠিক কাজ করেন নাই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তারা সরকারি অফিসার আচরণ বিধির আওতায় থাকেন। তারা যদি দৃষ্টিকটু আচরণ করেন তাহলে সিভিল সার্ভিসের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য দুপক্ষকেই আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন সরকারের এ সাবেক সচিব।

 

Link copied!