Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫,

কলেজের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবদেক

নিজস্ব প্রতিবদেক

জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম


কলেজের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা

দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থীদের আটটি বেসিক বা মৌলিক বিষয় পড়ানো হয়। সেগুলো হলো- অ্যানাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি ও ফিজিওলজি। 

সরকারি মেডিকেল কলেজে বেসিক বিষয়ে পাঠদানের জন্য ২ হাজার ৫ পদের মধ্যে ৫০৯টি শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপকের জন্য অনুমোদিত ২১৩টির মধ্যে ১৪৮টি, সহযোগী অধ্যাপকের জন্য নির্ধারিত ২৫৫টির পদের মধ্যে ৮৮টি, সহকারী অধ্যাপকের ৩৪৪টির মধ্যে ১০৮টি, কিউরেটরের ৫২ পদের মধ্যে আটটি শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিভিন্ন সময়ে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়ানোতে বেড়েছে শিক্ষার্থী আসনসংখ্যা। সারা দেশের হাসপাতালের শয্যাসংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা না বেড়ে বরং সরকারি পর্যায়ে ৬ হাজার ১৮৩ জন চিকিৎসক পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। 

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যাপকের পদ রয়েছে ৮৩৩টি। এর মধ্যে ৫২৩টি অর্থাৎ ৬২ দশমিক ৭৮ শতাংশ পদই ফাঁকা। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৫২৬ পদের মধ্যে ৫৬০টি, সহকারী অধ্যাপকের ২ হাজার ২৮৪ পদের মধ্যে ১ হাজার ৭৮টি, কিউরেটরের ৬২ পদের মধ্যে ১৩টি এবং প্রভাষকের ১ হাজার ৪২০ পদের মধ্যে ৩০৮টি পদ ফাঁকা। সব মিলে ৬ হাজার ১২৫ পদের মধ্যে ২ হাজার ৪৮২টি অর্থাৎ শূন্য রয়েছে ৪০ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষকের পদ। সূত্র জানায়, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন গত বছর বাংলাদেশের এমবিবিএস পরীক্ষার সনদের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করেছে। কারণ বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। 

বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও তাদের দুই থেকে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে দেশের চিকিৎসা শিক্ষা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রোগীদের সেবাও। মূলত নন-ক্যাডার থেকে যারা ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন তাদের ও ক্যাডারদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ কীভাবে হবে, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা অধ্যাপক হতে পারবেন কিনা, সেসব নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আর যারা বৈষম্যের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতাও রয়েছে। 

তাছাড়া মূল বিষয়ের বাইরে যাদের সাব-স্পেশালিটি রয়েছে তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতাও নিরসন হয়নি। তবে এ ধরনের জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শিগগির কমিটি মতামত প্রকাশ করবে। তারপর পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হবে। 

এদিকে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে।

Link copied!