Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫,

কারণ ছাড়াই বাড়ছে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের দর

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ১২:১০ এএম


কারণ ছাড়াই বাড়ছে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের দর

আর্থিক দায় হঠাৎ বেড়েছে ছয়গুণের বেশি—আর্থিক প্রতিবেদন

আমাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো পিএসআই নাই—কোম্পানি সেক্রেটারি 

এই মার্কেটে উদ্ভট ঘটনাই হলো স্বাভাবিক ঘটনা—বিনিয়োগকারী

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানি সিকদার ইন্স্যুরেন্সের দাম কারণ ছাড়াই লাফিয়ে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ২১ টাকা ৫০ পয়সা। দিন শেষে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ার দর এক টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সায়। 

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ পতন হলেও কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে চার দশমিক ৬৯ শতাংশ। 

হঠাৎ কেন কোম্পানিটির শেয়ার দর এত বাড়ছে জানতে চাইলে কামাল হোসেন নামে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, ‘কেন গত বেশ কিছু দিন থেকে জেড ক্যাটাগরির স্টকগুলোর আধিপত্য এত বেশি? আপনি জানেন কি প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন কামালের। কামাল প্রশ্ন করেন, শুধু সিকদার নয়, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির (কেপিপিএল) শেয়ারের মতো স্টক যার কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ আছে অনেকদিন ধরে, কি করে এ ধরনের স্টকের প্রাইস এত বাড়ে? আমারও জানা নাই। এই মার্কেটে উদ্ভট ঘটনাই হলো স্বাভাবিক ঘটনা।’

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জানা গেছে, কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি টাকা। কোম্পানিটি ২০২২ সালের (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত লাভ করেছে চার কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৩ সালের (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত লাভ করেছে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির এক কোটি টাকা বেশি লাভ করেছে। কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৩ সালে বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। 

এদিকে কোম্পানির ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গড়ে যেখানে ২০ কোটি টাকা  প্রতি বছর কোম্পানিটির দায় ছিল সেখানে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানিটি তাদের আর্থিক দায় হঠাৎ করে ২০২৩ সালের প্রায় ছয়গুণ বাড়িয়েছে। 

তবে তাদের রিজার্ভ গড়ে ৩০ কোটি টাকায় রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে শেয়ার প্রতি সম্পদের মূল্য নেট অ্যাসেটস ভ্যালু পার শেয়ার (এনএভিপিএস) তিন কোটি চার লাখ ৯০ হাজার টাকা। যার আগের বছর ছিল দুই কোটি ৮৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও  ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা।  

এ বিষয়ে সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তিনি ম্যাসেজের মাধ্যমে এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।

Link copied!