নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ১২:১৫ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ১২:১৫ এএম
এক কোটি ১১ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে মাত্র ৬০ শতাংশ ভ্যাট দেন। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) থাকার পরও যারা দীর্ঘদিন রিটার্ন দাখিল করছেন না, তারা শিগগিরই নোটিশ পাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, যারা রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাদের কোনো সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্টে যাচ্ছি।
গতকাল রোববার রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে আয়োজিত ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষ কর্মশালায় এনবিআর চেয়ারম্যান একথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সেবা নিয়ে ভ্যাট দিয়েও নিজেই ভ্যাটের চালান পাইনি। অনেক ব্যবসায়ীই ভ্যাট চালান দিতে চান না। আমাদের নাগরিকরা বিদেশে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন। কিন্তু, দেশে আমরা আইন মানি না। তার মানে এ সমস্যার সমাধান করতে আইনের প্রয়োগ করি না। এটাই সমস্যা।
ফলের ওপর শুল্ক আরোপ কেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার এমন বক্তব্যের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা অনেকগুলো নিত্যপণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছি। এবার রমজানকে কেন্দ্র করে আগেই খেঁজুরের দরে ছাড় দিয়েছি। তবে আমরা শুনলাম খেজুরের দাম বাড়ছে এটা হওয়ার কথা না। যেহেতু আমরা ব্যাপক হারে শুল্ক ছাড় দিয়েছি। ব্যাংকিং সিস্টেমে সঞ্চয়পত্রে সরকারের কিছু ঋণ আছে। সেই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। একবার যদি সরকার ফেল করে তাহলে আমাদের ক্রেডিট রেটিং কমে যায়। এজন্য আমাদের অভ্যান্তরীণ রাজস্ব বাড়াতে হবে। সেই কারণে আমরা নিত্যপণ্যগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পাবলিক সেন্টিমেন্টের কারণে আমরা ইতোমধ্যে কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছি। শুধু পলিসি নেয়া নয়, পলিসি বাস্তবায়নেও এনবিআর কাজ করছে। দায়িত্ব নেয়ার পর সবার আগে দেশরক্ষার চেষ্টা করেছি। দেশরক্ষা পেলে আমাদের ব্যবসা টিকবে।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আমার ব্যবসায়ী বন্ধুরা বলেন, আমরা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দেই। বাস্তবতা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেন না। এই কথাটা মেনে নিতে হবে। কারণ ব্যবসায়ীরা সরকারের পক্ষে একটা পবিত্র দায়িত্ব পালন করেন। তারা ভ্যাট সংগ্রহ করেন। আলটিমেটলি ভ্যাট দেন ভোক্তারা। একটা শার্ট যদি ১০০০ টাকায় দিয়ে কোনো ভোক্তা কিনেন। তাহলে ভোক্তারা ভ্যাট দেন ১৫০ টাকা। অর্থাৎ এই ১৫০ টাকা তুলা উৎপাদনকারী থেকে খুচরা বিক্রিতা পর্যন্ত ভাগ করে দেয়া হয়। আর এই ১৫০ টাকাই বিভিন্ন স্টেজে এনবিআর ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স হিসেবে আদায় করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজকে আমরা সাড়ে ৭ পারসেন্ট ভিটি দেই আমাদের ভ্যালু এডিশন তো ১৫ শতাংশ না। তাহলে আমি তাদের বলব আপনারা ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে সৎ হতে হবে। আসলে আমরা যেভাবে চলছি, সেভাবে চললে আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। যেভাবে চললে তারুণ্যের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন করতে পারব সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।