Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫,

ভোগান্তিতে নগরবাসী

যানজটে স্থবির রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১১, ২০২৫, ১২:১৯ এএম


যানজটে স্থবির রাজধানী
  • বাসচাপায় সহকর্মী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

বনানীতে গতকাল গাড়িচাপায় পোশাকশ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। সকাল ৬টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গাড়িচাপায় নিহত হন পোশাকশ্রমিক মিনারা আক্তার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক শ্রমিক সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর শ্রমিকরা বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে বনানী, মহাখালী, গুলশান, কাকলি, এয়ারপোর্ট রোড, সাতরাস্তা ও প্রগতি সরণিসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে অফিসগামী মানুষসহ সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পরে সন্ধ্যায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফিজুল ইসলাম জানান, বনানী এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে এবং কিছু গাড়ি রামপুরা ও প্রগতি সরণি দিয়ে ডাইভারশন করে পাঠানো হয়েছে। এতে যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বনানী থেকে শুরু হওয়া এই যানজট বিমানবন্দর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সাত রাস্তা ও জাহাঙ্গীর গেট এলাকাও যানজটে স্থবির হয়ে যায়।

যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ : যানজটের কারণে অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। রাস্তায় আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, উত্তরায় যাব বলে বাসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু জাহাঙ্গীর গেট থেকে গাড়ি সামনে যাচ্ছে না। পরে শুনতে পারলেন বনানীতে রাস্তা অবরোধ। এক ঘণ্টা ধরে গাড়িতে বসে থাকার কষ্টের কথা জানান তিনি। 

মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জুনাইদ বলেন, বনানীতে রাস্তা অবরোধের কারণে মহাখালীতে চাপ বেড়েছে, যানজট দীর্ঘ হয়েছে। এদিকে শ্রমিকদের দাবি, দোষী চালকের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

লাশ নিয়ে শ্রমিকদের মিছিল : এদিকে গতকাল দুপুরের পর থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিহত শ্রমিকের লাশ নিয়ে বনানীতে মিছিল করেছেন। তাদেও সঙ্গে যুক্ত হন করাইল বস্তির লোকজনও। পুলিশ তাদের আশ্বাস দিলেও তারা বিকালে পর্যন্ত রাস্তা ছাড়েননি। 

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল সরকার বলেন, আন্দোলন করেছেন তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। যাদের অধিকাংশের বাড়ি কড়াইল বস্তি। তাই বস্তির লোকজন আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তারা নিহত শ্রমিকের লাশ নিয়ে মিছিল করেছেন। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের আমরা বারবার আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি তারা এই ঘটনার বিচার পাবে। এবং এক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও জানান, বনানীতে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে সারা ঢাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ছে।

Link copied!