নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৩০, ২০২৫, ১২:২৭ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৩০, ২০২৫, ১২:২৭ এএম
ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শেষ সময়েও ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। তবে প্রতিবছরের মতো এবার অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি সবাই। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে শুক্রবার। টানা ৯ দিনের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উৎসব পালন করতে। গত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে বিকেলের পর থেকে রাজধানী ছাড়তে বাস ও ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। লঞ্চে যাত্রীদের চাপ। মহাসড়কে বড় যানজট না হলেও রাজধানী থেকে বের হতে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস-টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনে এবং ট্রেন স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ মানুষের ভিড় ছিল। লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেছে বেশির ভাগ লঞ্চ। রাজধানী ছাড়তে ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
বিগত বছরগুলোতে ঈদের ঘরমুখী মানুষ সড়ক পথে উত্তরের জেলাগুলোতে ছুটতে গলদঘর্ম হতো। যাত্রা পথেই লেগে যেত ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা। কিন্তু এখন আট লেনের রাস্তার কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ার পথে। ফলে সেই ভোগান্তি আর নেই। পদ্মা সেতু হওয়ায় বরিশালে সড়কপথে যাত্রীরা যাতায়াত করেন।
গতকাল বাস-টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে কাউন্টারের সামনে এবং রেলস্টেশনগুলোতেও ছিল অপেক্ষমাণ মানুষের ভিড়। লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে গেছে বেশির ভাগ লঞ্চ। রাজধানী ছাড়তে ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও ঈদের আনন্দে বাড়িফেরা মানুষদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ। অনেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আকাশপথেও গ্রামে ফিরছেন। রাজধানীর কমলাপুর থেকে গতকাল শুক্রবার ৭০টির মতো ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪৩টি আন্তঃনগর, ২৪টি মেইল কমিউটার। এসব ট্রেনের সঙ্গে দুটি বিশেষ ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেল।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস এবং নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে যাত্রা করেছে। এতে এসব ট্রেনের যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়বে বলে বাসা থেকে ভোরে রওনা হয়ে কমলাপুর এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ট্রেন সময়মতো ছাড়েনি। এমনিতেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি, তারপর আবার বসে থাকা; এটা একটা কষ্টকর বিষয়।’
রেলস্টেশন ঘুরে আরও দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের চেকিং শেষে যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
মহাসড়কে নেই ভোগান্তি : রাজধানী ছাড়তে বাসের যাত্রীরা গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়েছে। শহর থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট হওয়ার কারণে টার্মিনাল থেকে গাড়িগুলো বের হতে বেশি সময় লাগছে। এতে বাসের কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বাসে ওঠার জন্য। গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকায় ট্রাক ঢুকতে না দেয়ার কারণে এই মহাসড়কে জট তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে সব মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে, তবে কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় এখনো ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে জট না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল এলাকায় বাস কাউন্টার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে সাধারণ সময়ের মতোই যাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়। কোথাও ভিড় দেখা যায়নি। ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল যাত্রায় মহাসড়কে যানজট না থাকায় সায়দাবাদ থেকে প্রায় প্রতিটি বাস নির্দিষ্ট সময় ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের মনেও ছিল প্রশান্তি। বরিশাল যাবেন আজিজুল হক। বাস কাউন্টারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট পেয়েছেন। এতে অনেকটাই অবাক হয়েছেন তিনি। আজিজুল জানান, এর আগে কোনো ঈদে এমন শান্তির যাত্রা হয়নি। কাউন্টারে এসে যুদ্ধ করে টিকিট কাটতে হয়েছিল। আর আজকে এসেই টিকিট পেলাম। এরকমটা সবসময় থাকুক সেই কামনা করি।
সাজেদা বেগমও বলছেন একই কথা। এরকম সুন্দরভাবে বাড়িতে যাওয়ার কথা চিন্তা করেননি তিনি। বাস কাউন্টারে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, যানজট- সব মিলিয়ে ঈদযাত্রা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এবারের মতো সুন্দরভাবে আর কখনো যাত্রা করতে পারেননি বলে জানান তিনি। তবে এর মাঝে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল সকালে সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালান ভোক্তা অধিকারের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস। এ সময় ইকোনো সার্ভিসের দুটি কাউন্টারে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় এক লাখ টাকা, হানিফ পরিবহনের কাছ থেকে ২০ হাজার ও জোনাকি পরিবহন থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সকাল থেকে তেমন যাত্রীর চাপ না থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৫৩৬ টাকা হলেও ইকোনো বাসে ৭০০ টাকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তবে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রতিটি গাড়ি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে গেলেও ঢাকা আসার পথে ফাঁকা আসছে। তাই ক্ষতি পোষাতে কিছুটা অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় স্বস্তির ঈদযাত্রা : ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন লাখো মানুষ। ঘরমুখো মানুষকে প্রতিবছরই ট্রেনে ঈদযাত্রায় নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তবে এবারের চিরচেনা সেই চিত্রে পরিবর্তন এসেছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ট্রেন ছাড়ছে, আর যাত্রীদের জন্য যাত্রা হয়েছে আগের চেয়ে স্বস্তিদায়ক। গতকাল সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা গেছে, ট্রেন ছাড়ার আগেই যাত্রীরা স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছেন। তবে আগের মতো প্রচণ্ড ভিড় কিংবা বিশৃঙ্খলার দৃশ্য চোখে পড়েনি। প্ল্যাটফর্মের বাইরের অংশে কিছুটা ভিড় থাকলেও ভেতরে কেবল টিকিটধারী যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে, ফলে অবৈধভাবে কেউ স্টেশনে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে না। এতে স্টেশনের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। অতীতে দেখা গেছে, ট্রেনের ছাদেও মানুষ উঠে যেত, যা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ।
তবে এবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। প্ল্যাটফর্মের প্রবেশপথেই কঠোর নজরদারি থাকায় টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে ঢুকতে পারছেন না। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, যাতে নির্ধারিত যাত্রীসংখ্যার চেয়ে কিছুটা বেশি মানুষ ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ পান। ফলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকলেও ট্রেনের ছাদে ওঠার চিরচেনা বিশৃঙ্খল দৃশ্য এবার দেখা যাচ্ছে না। এবারের ব্যবস্থাপনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। প্লাটফর্মে আসা একাধিক যাত্রী বলেন, ট্রেন উঠতে ঝামেলা হবে বলে আগেই স্টেশনে এসে উপস্থিত হয়েছি। তবে এসে কোনো ভিড় দেখা যায়নি। টিকিটধারীরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ট্রেনে চড়ছেন। কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে এবং কোনো ট্রেনই বিলম্ব হয়নি। সকালের কিছু ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কমে এসেছে।
সদরঘাটে ভিড় নেই : ঈদের সময় সদরঘাট লঞ্চ-টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এ বছর ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নেই চিরচেনা সেই ভিড়। তবে এবার উপচেপড়া ভিড় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে গেছে। অন্যদিকে টার্মিনালে ভিড়েছে ৭৮টি লঞ্চ। এ ছাড়া এ বছর ঈদযাত্রায় প্রায় ১৭৫টি লঞ্চ যাত্রীসেবা দিচ্ছে।
লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার সদস্য হামজা লাল শেখ বলেন, টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের ১৭৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, টার্মিনালে এখনো যাত্রীর চাপ বাড়েনি। তবে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আকাশপথে চাপ কম : এবার ঈদে আকাশ পথে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। অন্য বছরগুলোতে প্রতিটি এয়ারলাইন্স যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা হয়। বাড়তি ফ্লাইট চালাত বাধ্য হন তারা। কিন্তু এবার পুরোটাই ভিন্ন চিত্র। শুধু বিমান এয়ারলাইন্স তিন রুটে ১৩ বাড়তি ফ্লাইটের ঘোষণা দিলেও এখনো বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো বাড়তি ফ্লাইটের ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার শুধু বেসরকারি নয় সরকারি এয়ারলাইন্সেও যাত্রীর তেমন চাপ থাকবে না। সব মিলে বলতে গেলে শুধু উত্তরের রুটে যাত্রী থাকবে। অন্য রুটগুলোতে তেমন চাপ নেই। বিশেষ করে বরিশাল। বিগত সময়ে কক্সবাজার রুটে ঈদের পর লম্বা লাইন লেগে যেত। কিন্তু এবার তেমনটা ঘটবে না। তবে যাত্রীরা যাবেন নিয়মিত ফ্লাইটে।
জানা গেছে, প্রতি বছর আকাশপথে টিকিটের চাপ থাকে। টিকিট হয়ে ওঠে সোনার হরিণ। ফলে বাড়তি দামেও টিকিট কিনে থাকেন ক্রেতারা। কিন্তু এবার সেই চাপ ও চড়া মূল্যের টিকিটে ভাটা পড়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো গত ২৫ মার্চ থেকে চাপ প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাড়তি ফ্লাইট চালানোর ঘোষণা আসেনি। তবে ঈদের দিন থেকে পরের তিন দিন কক্সবাজার রুটে পর্যটকের চাপ থাকবে। ফলে সেই তিন দিন এয়ারলাইন্সগুলো ব্যস্ত সময় কাটাবে। ফ্লাইটও বাড়তে পারে।
এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবার ঈদে দেশের যাত্রীদের বিদেশগামী যাত্রী ব্যাপক মেলে। কিন্তু সেই চিত্রেও এবার ভাটা পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অন্য বছরে চাপ থাকলেও এবার ফেরার চাপ বাড়বে।